সর্বশেষ আপডেট : ৫৮ সেকেন্ড আগে
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

৯ বছর পর চোখের জলে মা-মেয়ের মহামিলন

নয় বছর আগে বাড়ি থেকে হারিয়ে যান রিনা বেগম। তারপর তাকে ফিরে পেতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন স্বজনরা। কোথাও পাওয়া যায়নি তাকে। রিনার দুই সন্তান। এক মে’য়ে এক ছে’লে। মে’য়েকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ বৃদ্ধা মা জাহানারা বেগম। মাকে হারিয়ে নানুর আদরে যত্নে বড় হয় রিনার দুই সন্তান। তাদের আশা ছিল একদিন মাকে ফিরে পাবে। অবশেষে ৯ বছর পর রিনা বেগম ফিরেছেন তার মায়ের কাছে, সন্তানদের কাছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ভা’রতের ত্রিপুরা থেকে আখাউড়া সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে তিনি ফিরে আসেন। ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশের সহকারী কমিশনের কর্মক’র্তারা তাকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। রিনা বেগমকে গ্রহণ করতে সীমান্তে উপস্থিত ছিলেন তার মা জাহানারা বেগম ও রিনার দুই সন্তান।

দীর্ঘ দিন পর মাকে ফিরে পেয়ে সন্তানরা জড়িয়ে ধরলে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। উপস্থিত লোকজনের চোখ ছল ছল করে উঠে। মে’য়ে শিফামনিকে দেখে হাসি ফুটে উঠে রিনা বেগমের মুখে। তিনি মে’য়ের নাম ধরে ডেকে উঠেন।

এসময় ভা’রতে আ’ট’কে পড়া আরও ৫ বাংলাদেশি নারীপুরুষ দেশের মাটিতে পা রাখেন। ভা’রত ফেরত এসব লোকজন বিভিন্ন সময়ে মানব পাচারের শিকার হয়েছে বলে ধারনা করছে সংশ্লিষ্টরা।

ভা’রত ফেরত ছয় বাংলাদেশি হলো বগুড়া জে’লার দুপচাচিয়া উপজে’লার জিয়ারুল ইস’লাম, কি’শোরগঞ্জ জে’লা সদরের হানিফা আক্তার, ময়মমসিংহের ফুলবাড়িয়ার আলপনা খাতুন, ঢাকার কেরানীগঞ্জের রীনা আক্তার, জামালপুরের মানিক মিয়া এবং মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার মো. শাহাজান মিয়া। এরা দুই বছর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত ভা’রতে আ’ট’কা ছিলেন।

রিনা বেগমের মে’য়ে শিফামনি। মাকে পেয়ে খুব আনন্দ লাগছে। মাকে হারিয়ে খুব অসহায় লাগতো। সহপাঠীর মায়েরা স্কুলে আসতো। তখন আমা’র মায়ের কথা মনে পরে কা’ন্না আসতো। অনেক কেঁদেছি। কিন্তু মা কী’ভাবে আগরতলায় গেল আম’রা বুঝতে পারছি না।

ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার মোহাম্ম’দ জোবায়েদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ছয় বাংলাদেশিই মানসিক ভা’রসাম্যহীন অবস্থায় ত্রিপুরায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হতে আ’ট’ক হয়। পরে আ’দালতের নির্দেশে আগরতলার মডার্ন সাইকিয়াটিক হাসপাতা’লে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে তারা কিভাবে ভা’রতে এসেছে এ ব্যপারে আমাদেরকে কিছুই বলতে পারেনি।

জোবায়েদ বলেন, এদের অনেকেই এই হাসপাতা’লে চার থেকে পাঁচ বছর বা আরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ার পর তাদের দেশে ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই হাসপাতা’লে আরও বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি চিকিৎসাধীন আছেন। পর্যায়ক্রমে তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

এসময় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, এখানে অনেকের বাড়ি ভা’রতে ত্রিপুরা সীমান্ত থেকে অনেক দূরে। ধারনা করছি এরা পাচারের শিকার হয়েছে।

বাংলাদেশিদেরকে হস্তান্তরকালে ত্রিপুরায় নিযু’ক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার মোহাম্ম’দ জোবায়েদ হোসেন, প্রথম সচিব রেজাউল হক চৌধুরী, আখাউড়া উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা রুমানা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইস’লাম, আখাউড়া থা’নার ভা’রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান, স্বেচ্ছাসেবক সৈয়দ খায়রুল আলম, ইমিগ্রেশন পু’লিশ ইনচার্জ সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: